নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের বিতর্কীতরা ফিরে আসতে শুরু করেছে। অনেক নেতা হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরও এলাকা ছাড়েনি বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। এসব নেতাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া এসব বিতর্কীত নেতারা কার সাথে আতঁতা করে এলাকায় ফিরছে তা অনুসন্ধান করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যাদের দাপটে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পরেছিল, যাদের অপতৎপরতায় এলাকায় থাকতে পারেনি দলের সাধারণ কর্মীরা। সে সমস্ত দাপুটে-বিতর্কীত নেতারা নতুন করে এলাকায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গাঢাকা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতারা। এদের মধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারন সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ মাসুম অন্যতম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষশতায় আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন সাইফুল্লা বাদল, শওকত আলী, ফরিদ আহমেদ লিটন,তার ভাই রাসেল আহমেদ মাসুম। সাইফুল্লা বাদল ও শওকত আলী সিন্ডকেট করে ভূমিস্যুতা, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী লালন করেছে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে। ভূমিদস্যুদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই দুই নেতা। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে ফতুল্লার উত্তাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লেিগর যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন ও তার ভাই রাসেল আহমেদ মাসুম। বিশাল বাহিনী নিয়ে ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আর এসব করে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকালীন সময়ে অঢেল সম্পদেক মালিক হয়েছে তারা। একাধিক বাড়ী, দামিগাড়ীসহ আলীশাল জীবন যাপন করতেন এসব নেতারা। স্থানীয় বিএনপির নেতার্কীদের রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ফতুল্লাকে জিম্মী করে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকলেও এক মাস না যেতেই এলাকায় ফিরে এসেছেন ভূমিদস্যু, মাদকের গডফাদারা। প্রশ্ন উঠেছে, বিতর্কীরা কার সহযোগীতা নিয়ে এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে, তা খুঁজে বের করে সে সমস্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।